শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নারীসহ ৩ জন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা হলেন শের-ই-বাংলার দৌহিত্র বানারীপাড়া উপজেলা আ.লীগের সদস্য এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা ও ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। এরা তিন জনই নৌকার টিকেট বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে দল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহে আলম তালুকদারকে দেয়া হয়েছে। তবে আ.লীগের বিদ্রোহীদের এসব প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাদের কেহই বর্তমানে আওয়ামী লীগের দলীয় কোথাও কোনো পদে নেই। বিদ্রোহীদের ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। কারণ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বিদ্রোহীরা আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হবেন।
সেটা ঠিক থাকলে এক কথা, না থাকলে দল অন্য সিদ্ধান্ত নেবে।’ এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার দলের জন্য অনেক ত্যাগ করেছি। বিনিময়ে কিছুই পাইনি। এখন আমার পাওয়ার সময়। আর সেজন্যই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। তাই নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দিতা করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শেষ পর্যন্তই আছি’। দলের বিদ্রোহী হলে বহিষ্কার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো দলীয় পদ নেই, তাই বহিষ্কার নিয়ে ভাবছি না’।
কথা বলার জন্য শের-ই-বাংলার দৌহিত্র এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর এক ঘনিষ্ঠজন জানান, ‘রাজু ভাই নৌকার টিকেট না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ সকল বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মিজদ সিকদার বাচ্চু বলেন, ‘এই মুহুর্তে কাউকেই আমরা দলের বিদ্রাহী প্রার্থী হিসেবে মনে করছি না। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তাদেরকে এখনও আমরা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বলছি না।
শেষ পর্যন্ত তারা যদি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী মাঠে থাকেন তাহলে তাদের ব্যাপারে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশানুযায়ী কঠিন সিন্ধান্ত নেয়া হবে’।উল্লেখ্য এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন। এর মধ্যে উজিরপুর উপজেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ১ জন ও বানারীপাড়া উপজেলায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৮ জন ভোটার। নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬ জন। এ আসনের উজিরপুরে ৮৩টি ও বানারীপাড়ায় ৫৩টি সহ মোট ১৩৬টি ভোট কেন্দ্র। তবে এ আসনে একক কোনো দলের আধিপত্য নেই বলে নব্বইয়ের পর ৬টি নির্বাচনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেপির (মঞ্জু) প্রার্থীরাও বিজয়ী হয়েছেন। স্বাধীনতা পর এই আসনে সবচেয়ে বেশি ৪ বার সংসদ সদস্য পেয়েছে জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ ৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিএনপি জিতেছে দুই বার করে।
Leave a Reply